
জামায়েত ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকে আমি একদিক থেকে সঠিক মনে করি৷
দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ, ধর্মের অঙ্গ৷ প্রতিটি ধর্মেই দেশপ্রেমের নিদর্শন ও দেশ প্রেমিককে সর্বোচ্চ স্থানে সম্মানিত করার কথা বলে হয়েছে৷ একটি স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্বের মধ্যে পরে৷ শুধু দায়িত্বই নয়, কর্তব্যও বটে৷ ধর্মীয়, মানবিক ও নাগরিক দৃষ্টিকোণ থেকে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সমর্থন ইতিবাচক৷
পাকিস্তান নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলেও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। বরং নিষ্পেষণের প্রবাহ মাত্রা স্থানান্তরিত হয়েছে এক গোষ্ঠী থেকে অপর গোষ্ঠীর কাছে৷ অত্যাচার, নিপীড়ন, বৈষম্য ও বঞ্চনার স্বিকার হয়েছিলো এই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ৷ জামায়াতে ইসলামী চেয়েছিলো দেশের স্বাধীনতা অক্ষূন্ন রাখতে৷ দেশপ্রেম ও ইমান রক্ষা করতে৷ এখানে তাদের ভুল ও অপরাধ আমি দেখি না৷
কঠিন সময়ে সুশীল, স্বার্থান্বেষী, তেলবাজ ও চাটাদের মতো সুসময়ের অপেক্ষা না করে একটি পক্ষ অবলম্বন করেছে তারা৷
উক্ত সময়ে আপনার সামনে দুটি পথ খোলা ছিলো, উভয়ই যৌক্তিক৷ এক দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করে, দ্বিতীয়ত অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া৷ এই দুটির কোনো একটি পক্ষ আপনি বেছে নিলেন মানে আপনি অন্যায় করলেন না৷ একটির দৃষ্টিতে অন্যটি অন্যায়, অপরাধ হতে পারে৷ কিন্তু দুটি পক্ষই আমার কাছে সাধারণ৷ তবে যারা এই দুপক্ষের কোনো পক্ষেই ছিলো না, তারাই প্রকৃত কালপিট৷ এরাই চিরকাল আওয়ামী, বিএনপি, জামায়াত, বাম এসবের ছায়াতলে এসে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে৷ ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রতি নষ্ট করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে৷ এদেরকে আপনি পলিটিক্যাল বা ন্যাশনাল প্রস্টিটিউড হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন৷
ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালে পাকিস্তান বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে জামায়াত ইসলামীর ইন্ধন, সম্পৃক্ততাকে আমি কখনোই সাধুবাদ জানাই না৷ বরং নিন্দাজ্ঞাপন করি৷ আমি কোনোরুপ হত্যাযজ্ঞই সমর্থন করি না৷ স্বাধীনতা রক্ষার্থে হত্যাযজ্ঞ, তান্ডবের বিকল্প পথে আগাতে পারতো দলটি৷
দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন৷ 🥱