পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে
কত না শ্রম দিতে হয় আরোহীর
সে যেনো এক অনুভূতি
কষ্টকর ক্লান্তির।
আমার অবশ্য কান্তি নাই
নাই কোনো কষ্টকর অনুভূতি,
সুউচ্চ পর্বতজোড়া নিয়ে
আমার আছো যে তুমি।
তোমার ওই অর্ধ উন্মুক্ত পর্বতযুগল
কত পুরুষের যে ঘুম কারে,
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
কত পুরুষই না কামরস ত্যাগে, নিরবে-নিভৃতে ৷
তোমার ওই পর্বতযুগল, দুহাতে ধরিবার স্বাদ পেতে
মরিয়া হয়ে তপস্যা করে দুষ্টু সাধুর দল,
আমার তপস্যায় জানি তুষ্ট তুমি
তাইতো প্রতিরাতে মেলে সাধনার ফল।
দিনের অক্লান্ত হারভাঙা খাটনী শেষে
ঘরে ফিরে যখন সম্মুখে তোমার পর্বতযুগল উন্মুক্ত হয়,
তুমি বিশ্বাস করো প্রিয়
আমার মাঝে তখন হিংস্র জানোয়ার জন্ম নেয়৷
আমি আমার নিরবতা বিসর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি
পর্বত জয়ের নেশায়,
ওই পর্বতযুগলও আমার বিজয় দেখতে শত বছর ধরে প্রতিক্ষায় রয়।
দুষ্টু সাধুর দলের তপস্যার ফল
ওই অর্ধউন্মুক্ত পর্বত দর্শনের মাঝেই সিমাবদ্ধ,
আমার হস্তদ্বয় কবেই সেই পর্বত জয় করে
গিরিখাদে কামদন্ড করেছে বদ্ধ।
শুধু ওই পর্বতযুগলই নয়
তোমার সর্বাঙ্গজুড়েই আমার স্বত্ত্ব,
কামরস ত্যাগে পিচাশীয় আনন্দে মেতে
এ সাধুর তপস্যা যেথায় সমাপ্ত।