ইরানি বিয়েতে লোকজ বিশ্বাস- মুমিত আল রশিদ, পড়ে আমাদের দেশীয় রীতির সাথে যেসব বিষয় সামঞ্জস্য ও বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করলাম তার কয়েকটি তুলে ধরলাম।
ইরানি বিবাহে বিয়ের কনেকে বর, শশুর ও শাশুড়ি পর্যায়ক্রমে মূল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়ে কনেকে বরণ করে নেন ৷ যা আমাদের দেশীয় রীতির সম্পূর্ণ বিপরীত৷ আমাদের দেশে উপহারের নামে বরপক্ষ কনেপক্ষের থেকে অঘোষিত যৌতুক চেয়ে নেয়৷ যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ বহির্ভূত৷ যদিও ইরানে পূর্বে বরের পরিবারকে আর্থিক উপহার দেয়ার প্রচলন ছিলো৷
ইরানি বিবাহ একধরনের মিশ্র বিবাহ প্রক্রিয়া। এখানে পশ্চিমা রীতিতে যেমন আংটি বদল আছে তেমনি আরবীয় রীতির আকদ, ভারতীয় রীতির অগ্নি প্রদক্ষিনও লক্ষ্য করা যায়৷ মিশ্র বিবাহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাদের নিজস্ব রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সাথে৷
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের মতো ইরানিদের মাঝেও পুত্রসন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করা যায় প্রবন্ধটিতে৷ পুত্রসন্তান লাভের জন্য তারা নিজস্ব বিশ্বাস অনুসরণ করে থাকেন বিবাহ প্রক্রিয়ায়৷ সেই সাথে বিধবা, বন্ধা, অসতী নারীদেরকে বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখা হয় অমঙ্গলের প্রতীক ভেবে৷
নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চা, গীতিগান, নৃত্যের মধ্যে দিয়ে স্থানভেদে তিন দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী চলে এই বিবাহ কার্যক্রম।